সিরিয়ায় হামলা বিশ্বজুড়ে নিন্দিত ইসরাইল
ইসরাইলি বিমান হামলায় ক্ষতবিক্ষত সিরিয়া, পাঁচ দিনের সংঘর্ষে নিহত ৩৬০
✍ আন্তর্জাতিক ডেস্কসিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক ও দক্ষিণাঞ্চলীয় সুয়েইদা শহরে ইসরাইলের ধারাবাহিক বিমান হামলা ঘিরে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এসব হামলাকে "নির্লজ্জ আগ্রাসন" আখ্যা দিয়ে বলেছে, ইসরাইল এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সিরিয়ার ভেতরে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা ছড়াতে চাচ্ছে।
মঙ্গলবার চালানো সর্বশেষ হামলায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভবন, প্রেসিডেন্সিয়াল প্যালেস এলাকা, এবং সামরিক সদর দপ্তরসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। এতে সাধারণ নাগরিক নিহত হওয়ার পাশাপাশি বহু মানুষ আহত হন। বিভিন্ন অবকাঠামো ও জনসেবামূলক স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সিরিয়ার প্রতিক্রিয়া
সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়,
“ইসরাইল এই হামলার মাধ্যমে সরাসরি সংঘাতের উস্কানি দিচ্ছে এবং দেশের স্থিতিশীলতা বিনষ্টের চেষ্টা করছে। এর জন্য ইসরাইলকেই সম্পূর্ণ দায়ী করা হচ্ছে।”
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
রাশিয়া এই হামলার তীব্র সমালোচনা করে জানায়,
“সিরিয়ায় ইসরাইলের একতরফা সামরিক অভিযান আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন এবং দেশের সার্বভৌমত্বের অবমাননা। এই ধরণের পদক্ষেপ নতুন করে সহিংসতা উসকে দিচ্ছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।”
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন,
“আমরা এই ঘটনার দিকে গভীর নজর রাখছি এবং সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে সংলাপে যুক্ত আছি। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগজনক।”
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে,
“আমরা ইসরাইলের সামরিক হামলার কঠোর নিন্দা জানাই এবং সিরিয়ার ভৌগলিক স্বাধীনতার প্রতি সম্পূর্ণ শ্রদ্ধাশীল।”
প্রাণহানির চিত্র
খবরে জানা গেছে, গত ৫ দিনে চলমান সংঘর্ষে মোট ৩৬০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে, যার মধ্যে বেসামরিক নাগরিক, সেনা সদস্য এবং বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্যরা রয়েছেন।
বিশ্লেষণ
আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ বাড়ছে এই সংঘাত ঘিরে। জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন অবিলম্বে সংলাপ এবং মানবিক সহায়তা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মন্তব্য আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অনুগ্রহ করে শালীন ভাষায় লিখুন এবং অবাঞ্ছিত মন্তব্য থেকে বিরত থাকুন। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ!