আফগানিস্তানে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য ধ্বংস করলেন তালেবান সরকার
আধুনিক সময়ের সবচেয়ে ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধিগুলোর একটি হলো মাদক। এটি শুধু ব্যক্তি নয়, পুরো সমাজ ও জাতিকে ধ্বংস করে দেয়। অথচ বর্তমান বিশ্বের বহু মুসলিম দেশেই এই মরণনেশার বিস্তার দিন দিন বাড়ছে। এমন সময় আফগানিস্তানের তালেবান শাসিত ইসলামি ইমারতের একটি সাহসী উদ্যোগ সবার দৃষ্টি কেড়েছে।
আফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় কান্দাহার প্রদেশে ইসলামি ইমারতের পুলিশ বিভাগ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, তারা সম্প্রতি ১৩০ কেজি আফিম, ৪৮০ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ এবং ৬৬০টি ‘কে’ ট্যাবলেট আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে।
এই সব মাদকদ্রব্য গত দুই মাসে কান্দাহার শহর ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় পরিচালিত একাধিক অভিযানে জব্দ করা হয়।
পুলিশ বিভাগ জানায়, এই অভিযান মাদকবিরোধী একটি ধারাবাহিক অভিযানের অংশ এবং ভবিষ্যতেও আরও কঠোরভাবে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
ইসলামের দৃষ্টিতে মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্য:
ইসলাম অত্যন্ত কঠোরভাবে মাদক ও নেশার যেকোনো রূপকে হারাম ঘোষণা করেছে। আল্লাহ তাআলা বলেন:
> "নিশ্চয়ই মদ, জুয়া, মূর্তি এবং ভাগ্য নির্ধারণকারী শর কাঁটা—এসব শয়তানের কাজ। অতএব এগুলো থেকে দূরে থাকো, যাতে তোমরা সফল হতে পারো।"
(সূরা আল-মায়িদাহ ৫:৯০)
রাসূল ﷺ বলেন:
> "প্রত্যেক নেশাদ্রব্য হারাম।" (সহীহ মুসলিম)
ইসলাম মাদককে শুধু হারাম বলেনি, বরং এর উৎপাদন, বিক্রি, পরিবহন, সংরক্ষণ এবং প্রচার—সবকিছুকেই গোনাহের কাজ হিসেবে ঘোষণা করেছে।
তালেবান সরকারের এই পদক্ষেপ শুধু আইন প্রয়োগ নয়, বরং ইসলামী সংস্কার ও সমাজকে নিরাপদ রাখার একটি দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ।
আজকের মুসলিম সমাজে যদি সব দেশ মাদকবিরোধী এমন কঠোর মনোভাব গ্রহণ করত, তাহলে আমাদের যুবসমাজ নেশা নয়, নৈতিকতা ও আদর্শে গড়ে উঠত।
ইসলামী চিন্তাবিদ, শিক্ষক, ইমাম ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের উচিত—মাদকবিরোধী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করা এবং সচেতনতা তৈরি করা।
আফগানিস্তানের কান্দাহারে তালেবান সরকারের মাদকদ্রব্য ধ্বংসের এই উদ্যোগ প্রমাণ করে, একটি ইসলামি রাষ্ট্র কিভাবে নৈতিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করতে পারে। আমরা আশা করি, মুসলিম বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোও এ থেকে অনুপ্রাণিত হবে এবং মাদকবিরোধী বাস্তব কার্যক্রম হাতে নেবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মন্তব্য আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অনুগ্রহ করে শালীন ভাষায় লিখুন এবং অবাঞ্ছিত মন্তব্য থেকে বিরত থাকুন। মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ!