আবু তোহা আদনানসহ আরো যে ৭ জন বিখ্যাত আলেম নারীর প্রেমে পড়েছিলেন
নারী সব সময়ই ফেতনা। পুরুষ সব জায়গায় শক্তিশালী হলেও নারীর কাছে দুর্বল। যদিও তিনি আধ্যাত্মিক জগতের এক মহা শক্তিশালী পীরই হোন না কেন। আর আবু তোহা আদনান সেরকম মহাপীর নয়। তো তার বিষয়ে এগুলো অস্বাভাবিক কিছু নয়। স্ত্রীর অভিযোগ তিনি অন্য নারীর সাথে যোগাযোগ রাখেন। হয়তো তাকে বিয়ে করার জন্যই তিনি কথা বলেন,যেহেতু ইসলামে একসাথে চারটি স্ত্রী রাখা জায়েয আছে। এই উদ্দেশ্য আরো পাত্রী দেখাতে অসুবিধা কোথায়।
আত্মিক জগতের মানুষরাও মানবীয় দুর্বলতা থেকে মুক্ত নয়।
নারীর সৌন্দর্য ও আবেগিক প্রভাব পুরুষের অন্তরে প্রভাব ফেলতে পারে — এটা প্রকৃতিগত বিষয়।
যারা আবু তোহা আদনানের সমালোচনায় ব্যস্ত তারাও কোনো মহাপীর নয়। তাই অন্যের দোষ দেখার আগে নিজের দোষ দেখুন।
আমরা সবাই মানুষ। নারীর কাছে আমরা সবাই দুর্বল। নারী একটা ফেতনা, মানে এটা পুরুষের জন্য একটা পরীক্ষার জায়গা। এই পরীক্ষায় খুব কম মানুষই পাস করতে পারে । যারা এই নারীর ফেতনায় পাস করেছেন। সেরকম কয়েকজন মহা মনীষীর সংক্ষিপ্ত জীবনী আমি উল্লেখ করেছি ।
এবং তারা কিভাবে নারীর ফিতনা থেকে নিজেকে বিরত রেখেছেন সেটার বিবরণ দিচ্ছি।
শাইখ শিবলী নোমান রহ. ও খ্রিস্টান নারী।
শাইখ আবু বকর শিবলী রহ. (মৃত্যু ৯৪৫ খ্রিঃ) ছিলেন: হজরত জুনায়েদ বাগদাদী রহ.-এর প্রধান খলিফা ও সুফিবাদের অন্যতম বড় আলেম। তিনি ছিলেন বাগদাদের গভর্নর শ্রেণির মানুষ, ধনসম্পদ ও মর্যাদার দিক থেকেও ছিলেন উচ্চশ্রেণির। পরে তিনি সব কিছু ত্যাগ করে আল্লাহর পথে সম্পূর্ণ আত্মনিবেদন করেন।
তার জীবনটা অনেক আগে পড়েছিলাম। তার সম্পর্কে বলা হয়ে থাকে, তার তরুণ বয়সে বাগদাদে এক খ্রিস্টান নারী ছিলেন, যিনি অসাধারণ সৌন্দর্যের অধিকারিণী ও তর্কে খুব পটু ছিলেন। শিবলী রহ. তার সঙ্গে একবার দেখা করেন—এবং সেই দেখা থেকেই মনে এক বিশেষ প্রভাব পড়ে যায়। তিনি তাকে ইসলামের দিকে আহ্বান করেন, কিন্তু সে নারী পাল্টা তাকে নিজের ভালোবাসার পরীক্ষায় আহ্বান জানায়।
একদিন শিবলী রহ. তাকে দেখতে গিয়ে বলেন,
“আমি তোমাকে ভালোবাসি, কিন্তু আল্লাহর জন্য চাচ্ছি তুমি ঈমান আনো।”
নারী হেসে বলল,
“তুমি যদি আমার প্রেমে এতটাই সত্যবাদী হও, তাহলে প্রমাণ দাও—দুনিয়ার প্রেমে এমনভাবে জ্বলো যেমন তুমি আখেরাতের প্রেমে জ্বলতে চাও।”
সত্যিকারের ভালোবাসার প্রমাণ পাওয়ার জন্য সেই নারী কঠোর শর্ত জুড়ে দেন। ১২ বছর তাদের বাড়িতে চাকর হয়ে থাকতে হবে, শূকর চরাতে হবে। তিনি কোন উপায় না পেয়ে এক পর্যায়ে রাজি হয়ে যান। এভাবেই তিনি ১২ বছর শুকরের রাখালী করলেন নামাজ রোজা সবকিছুই ছেড়ে দিলেন। তার এই খবর পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়ল আর গ্রামবাসী মনে করলেন শিবলী নোমান খ্রিস্টান হয়ে গেল। তার এই অবস্থার জন্য তার সকল মুরিদ তার জন্য রাত দিন দোয়া-দুরুদ এবং ইস্তেগফার করতে লাগলেন। তার হেদায়েতের দোয়া করতেন। যখন ১২ বছর পূর্ণ হল তখন শর্ত অনুযায়ী তিনি তাকে মুসলিম করে বিয়ে করলেন । আর বললেন এতদিন আমি তোমার কথা শুনেছিলাম এখন থেকে তুমি আমার কথা শুনতে হবে।
তখন তিনি তাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন।আর মারেফতের শিক্ষায় শিক্ষিত করলেন। অতীতের পাপের জন্য রাত দিন আত্মসমালোচনায় মগ্ন থাকতেন এবং তাওবা করতেন।পরিশেষে আল্লাহর দিকে সম্পূর্ণরূপে ফিরে আসেন।
ফুযাইল ইবনু ইয়া’য (রহ.) — এক নারীর কারণে বদলে যাওয়া ডাকাত
ইমাম ফুযাইল ইবনু ইয়া’য রহ. ছিলেন তাবেঈন যুগের এক মহান আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব ও মুফাসসির। তার শৈশব ও যৌবনকাল ছিল পাপাচারে ভরা। তিনি ডাকাত দলের নেতা ছিলেন, আরবের মরুভূমি ও শহর পথে ডাকাতি করতেন।
একদিন তিনি এক সুন্দরী নারীর প্রেমে পড়েন। সেই নারীর প্রতি মোহে তিনি এমন এক রাতে তার বাড়ির দেয়াল টপকে ভিতরে ঢুকলেন, যখন নারী ঘুমিয়ে ছিল। কিন্তু হঠাৎ তিনি এক ঘর থেকে কুরআনের আয়াত শুনতে পেলেন—
"أَلَمْ يَأْنِ لِلَّذِينَ آمَنُوا أَنْ تَخْشَعَ قُلُوبُهُمْ لِذِكْرِ اللَّهِ"
— “যারা ঈমান এনেছে, তাদের হৃদয় কি এখনো আল্লাহর স্মরণে নম্র হবে না?” (সূরা হাদীদ ৫৭:১৬)
এই আয়াতের শব্দ যেন তার অন্তরে বজ্রপাতের মতো আঘাত করে। তিনি থেমে যান, চোখে পানি চলে আসে, এবং নিজেকে বলেন —
“হে আল্লাহ! সময় তো হয়ে গেছে। এখন থেকে আমি আপনারই পথে ফিরে যাব।”
সেই রাতেই তিনি তওবা করেন। ডাকাতির জীবন ছেড়ে দেন, দুনিয়ার মোহ ত্যাগ করেন এবং আল্লাহর পথে নিজেকে উৎসর্গ করেন।
পরে তিনি হযরত ইবনু মুবারক রহ. ও সুফিয়ান সাওরি রহ.-এর যুগের অন্যতম আধ্যাত্মিক শিক্ষক ও আল্লাহভীরু মানুষে পরিণত হন।
বায়েজিদ বস্তামী (রহ.) — আত্মিক শক্তির পরীক্ষায় নারী দ্বারা সতর্কতা
বায়েজিদ বস্তামী রহ. (তৃতীয় হিজরী শতাব্দী) ছিলেন আধ্যাত্মিক জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর নামের সাথে “সুলতানুল আরিফীন” (আরিফদের রাজা) উপাধি যুক্ত। তিনি আল্লাহর জিকির, ত্যাগ, ও আত্মশুদ্ধির এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিলেন যা তাসাওফ ইতিহাসে অনন্য।
একবার তিনি ভ্রমণের পথে ছিলেন। হঠাৎ এক সুন্দরী নারী পথের পাশে এসে তাঁকে পানি চাইলো।
তিনি থেমে পানি দিলেন, কিন্তু চোখ নিচু করেই দিলেন।
নারী হেসে বলল,
“হে আল্লাহর বান্দা, তুমি কি আমাকে একবারও দেখলে না?”
তিনি বললেন,
“আমি এমন দৃষ্টিকে অভ্যস্ত করিনি, যা আল্লাহর স্মরণ থেকে দূরে রাখে।”
নারী তখন হাসি থামিয়ে বলল,
“তুমি সত্যিই বায়েজিদ বস্তামী?”
তিনি বললেন,
> “আমি সেই বান্দা, যে নারী থেকে নয়, নিজের নফস থেকে ভয় পাই।”
এ কথার পর তিনি গভীর নীরবতায় মগ্ন হন এবং পরে তাঁর শিষ্যদের বলেন —
“আল্লাহ তায়ালা মানুষকে দুই পরীক্ষায় ফেলে — এক, দুনিয়ার মাল; দুই, নারীর সৌন্দর্য। উভয় পরীক্ষায় সফল সে-ই, যে অন্তর
কে আল্লাহভীতিতে আবদ্ধ রাখে।”
ইব্রাহিম ইবনু আদহাম (রহ.) — এক নারীর শব্দে জাগ্রত রাজা
ইব্রাহিম ইবনু আদহাম রহ. ছিলেন খোরাসানের (বর্তমান আফগানিস্তান ও ইরানের একাংশ) বালখ শহরের রাজা।
তাঁর নাম ইসলামী তাসাওফ ইতিহাসে বিখ্যাত — কারণ তিনি সোনার সিংহাসন ছেড়ে আল্লাহর পথে ফকির হয়েছিলেন।
একদিন গভীর রাতে রাজপ্রাসাদে রাজা ইব্রাহিম আরামে ঘুমাচ্ছিলেন।
হঠাৎ ছাদের উপর থেকে শব্দ হলো—
“এই ঘরে কি উট আছে?”
রাজা জেগে উঠে বললেন,
“তুমি কে? রাজপ্রাসাদে উট থাকবে কেন?”
উপর থেকে উত্তর এলো,
“তুমি যেভাবে প্রাসাদে উট খুঁজছ, তেমনি তুমি এই দুনিয়ায় আল্লাহকে খুঁজছো — অথচ এ জায়গা তো তাঁর নয়!”
এ কথা শুনেই রাজা গভীর চিন্তায় পড়লেন। সকালে দরবারে গেলেও মন আর সেখানে টিকলো না।
🔹 নারীর প্রভাবিত মুহূর্ত:
কিছুদিন পর এক সুন্দরী নর্তকী তাঁর দরবারে গান গাইছিল।
রাজা তার কণ্ঠে মুগ্ধ হয়ে মনোযোগী হচ্ছিলেন, কিন্তু হঠাৎ মেয়েটি গানের মাঝখানে এক পঙ্ক্তি পড়ল—
“হে রাজা, তোর জীবন একদিন ফুরাবে, তুই কোথায় যাবি?”
এই একটি লাইন যেন বজ্রপাতের মতো তাঁর অন্তরে আঘাত করল।
তিনি তৎক্ষণাৎ রাজত্ব, ধন, ক্ষমতা—সব ত্যাগ করে বেরিয়ে পড়লেন আল্লাহর সন্ধানে।
পরে তিনি পৃথিবীর এক বিখ্যাত সুফি সাধকে পরিণত হন।
তাঁর উক্তি এখনো তাসাওফ শিক্ষার্থীদের মুখে মুখে—
“আল্লাহর পথে হাঁটার শুরু হয়, যখন বান্দা নিজে
র নফসের রাজত্ব থেকে পদত্যাগ করে।”
ইমাম মালিক ইবন আনাস (রহ.) — এক নারীর মুখ দেখে কেঁদে ফেলা আলেম
ইমাম মালিক ইবন আনাস রহ. ছিলেন হিজরতের ৯৩ সনে জন্ম নেওয়া চার ইমামের একজন—ইমাম মালিকী মাজহাবের প্রতিষ্ঠাতা।
মদিনা শরিফে তিনি জন্ম ও মৃত্যু বরণ করেন, এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীস সংরক্ষণের জন্য ছিলেন সবচেয়ে সতর্ক আলেমদের একজন।
একদিন তিনি মসজিদে নববীর পাশে বসে হাদীসের পাঠ নিচ্ছিলেন।
সেই সময় এক সুন্দরী নারী দরজার পাশে এসে প্রশ্ন করলো—
“ইয়া ইমাম! আল্লাহ কি তাঁর বান্দাকে ভালোবাসেন?”
ইমাম মালিক তাকিয়ে এক মুহূর্তে মুখ নিচু করে ফেললেন, চোখে পানি চলে এলো।
তিনি উত্তর দিলেন,
“আল্লাহ তাঁর বান্দাকে ভালোবাসেন, কিন্তু বান্দা যেন তাঁর ভালোবাসা হারিয়ে না ফেলে। আমি ভয় করি, যদি আমার দৃষ্টি ভুল জায়গায় পড়ে, তবে আমি সেই ভালোবাসার অযোগ্য হয়ে যাব।”
এ কথা বলেই তিনি কান্নায় ভেঙে পড়লেন।
🔹 ঘটনাটির তাৎপর্য:
সেই নারী প্রশ্নের উত্তর পেয়ে অবাক হয়ে গেল।
সে বলল,
“ইয়া ইমাম! আমি আপনাকে পরীক্ষা করতে এসেছিলাম। আপনার চোখে তাকিয়ে বুঝতে চেয়েছিলাম আপনি দুনিয়ার নাকি আখিরাতের মানুষ।”
ইমাম মালিক বললেন,
“আমি আল্লাহর ভালোবাসার নিরাপত্তা চাই। কারণ এক নজরেই মানুষ চিরকালীন পতনের পথে চলে যেতে পারে।”
ইমাম আহমদ ইবনু হাম্বল (রহ.) — নারীর প্রভাব ও ধৈর্যের পরীক্ষা
ইমাম আহমদ ইবনু হাম্বল রহ. (৭৮০–৮৫৫ খ্রিঃ) ছিলেন হানবী মাজহাবের প্রতিষ্ঠাতা এবং তাঁর জীবনে কঠোর ইবাদত, ধৈর্য ও তাকওয়ার অনন্য উদাহরণ রয়েছে। তিনি দুনিয়ার সৌন্দর্য, ধন-সম্পদ এবং নারীর প্রলোভন—সবকিছু থেকে নিজেকে বিরত রেখেছিলেন।
একবার তিনি বাজারে যাচ্ছিলেন। সেখানে এক মহিলা তাঁকে দেখলেন এবং বললেন—
“হে আহমদ! তুমি কি সত্যিই আল্লাহর বান্দা?”
নারীর সৌন্দর্য ও সৌম্যভঙ্গি দেখে ইমাম আহমদ চোখ নামালেন।
পরবর্তীতে তিনি নিজেকে মনে মনে পরীক্ষা করলেন—
“আমি কি নারীর সৌন্দর্যে মন হারাচ্ছি, নাকি আল্লাহর স্মরণে স্থির আছি?”
একই বাজারে তিনি দেখলেন যে আরেক মহিলা কিছু অসদাচরণ করছে। মুহূর্তেই তিনি মনে করলেন—
“যে মানুষের হৃদয় দুনিয়ার জন্য ঝুঁকে পড়ে, সে আল্লাহর পথে স্থির থাকতে পারে না।”
এই ঘটনা থেকে তিনি পুরো জীবন ধরে নারীর সৌন্দর্য বা দুনিয়ার কোনো প্রলোভনকে
হৃদয়ে ঢুকতে দেননি।
এসব ঘটনা থেকে আমরা শিখতে পারলাম
১️⃣ আত্মিক জগতের মানুষরাও মানবীয় দুর্বলতা থেকে মুক্ত নয়।
২️⃣ নারীর সৌন্দর্য ও আবেগিক প্রভাব পুরুষের অন্তরে প্রভাব ফেলতে পারে — এটা প্রকৃতিগত বিষয়।
৩️⃣ সত্যিকার পীর বা আরিফুল্লাহর বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি ভুল করলে দ্রুত আত্মসমালোচনায় ফেরেন এবং তওবা করেন।
৪️⃣ এই ঘটনা কোনোভাবে নারীদের “ফেতনা” হিসেবে অপমান করা নয়; বরং এটি “আত্মনিয়ন্ত্রণের পরীক্ষা”র একটি উদাহরণ।
১️⃣ নারীর প্রতি আকর্ষণ মানুষের প্রকৃতিগত দুর্বলতা, কিন্তু যদি তা আল্লাহভীতিতে দমিয়ে রাখা যায়, সেটাই ঈমানের প্রকৃত সৌন্দর্য।
২️⃣ একটি “দুনিয়াবি প্ররোচনা” কখনও কখনও আল্লাহর দিকে ফেরার পথ খুলে দিতে পারে—যদি অন্তর সজাগ থাকে।
৩️⃣ ফুযাইল রহ.-এর জীবন প্রমাণ করে যে, সবচেয়ে বড় গুনাহগারও আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত নয়
১️⃣ দৃষ্টি সংযম ইবাদতের প্রথম ধাপ। পীর-মহাপীররাও নারী দেখলে দৃষ্টি নামাতেন।
২️⃣ নফসের ভয় – শয়তান যত না ভয়ংকর, নিজের নফস তার চেয়েও ভয়ংকর।
৩️⃣ প্রকৃত আধ্যাত্মিকতা মানে নারী বা সম্পদের পরীক্ষায় সফল হওয়া।
১️⃣ কখনও নারীর মুখে বলা একটি সত্য বাণী মানুষকে পুরোপুরি বদলে দিতে পারে।
২️⃣ দুনিয়ার আরাম ও নারীসৌন্দর্য মানুষকে আল্লাহ থেকে দূরে টানে — কিন্তু কেউ যদি সেই প্ররোচনায় জেগে ওঠে, সেটাই প্রকৃত হেদায়েত।
৩️⃣ আল্লাহর পথে আসতে রাজা কিংবা গরিব—কারওই বাধা নেই; কেবল “সচেতনতা” প্রয়োজন।
১️⃣ আলেমদের মর্যাদা তাদের দৃষ্টির সততায়।
২️⃣ একটি নারীর উপস্থিতি পর্যন্ত ইমামদের অন্তর কাঁপিয়ে দিত, কারণ তাঁরা আল্লাহর ভালোবাসা হারানোর ভয় পেতেন।
৩️⃣ প্রকৃত পীর বা আলেম মানে এমন ব্যক্তি, যিনি “আল্লাহর ভয়” দিয়ে নিজের নফসকে শাসন করেন।
ধৈর্য ও তাকওয়া — নারীর সৌন্দর্য বা প্রলোভনের মুখেও ইমাম নিজের অন্তরকে আল্লাহর স্মরণে স্থির রাখেন।
২️⃣ নফসের পরীক্ষা — প্রকৃত আলেম বা পীররা জানেন যে নারী বা সম্পদের প্রলোভন মানুষের অন্তরের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা।
৩️⃣ অন্তরের বিশুদ্ধতা — শুধুমাত্র আল্লাহভীতি ও নফস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সত্যিকারের আধ্যাত্মিকতা অর্জিত হয়।
🔹 ঐতিহাসিক সূত্র:
“حلية الأولياء” — আবু নুয়াইম আল-ইসফাহানী
“صفة الصفوة” — ইবনু জাওযি
“تذكرة الأولياء” — ফারিদউদ্দিন
আত্তার।
এই গ্রন্থগুলো ছাড়াও ইতিহাসের আরো অনেক গ্রন্থে তাদের জীবনী পাওয়া যায়। যেমন তারিখে বাগদাদ, সিয়ারু আলামিন নুবালা।
যদি ভালো লাগে তাহলে শেয়ার করুন এবং কমেন্ট করে জানাবেন। আপনার একটি ছোট্ট কমেন্ট আমার জন্য ভবিষ্যতে পথ চলার প্রেরণা।
শেয়ার করুন
উত্তরমুছুন